ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এতে সাগরের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিনিয়ত স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে প্রশাসন। শুকনো খাবার, জরুরি ওষুধও মজুদ করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০ মুজিবকিল্লা। এমনটাই জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৮.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতিভারি (≥ ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর (পুনঃ) ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন