ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম আহমেদ সনি ও ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তাকিম আহমেদকে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার হলিধানী ভেটেরিনারি কলেজের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেন। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদের ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করলে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সে সময় প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে সদর উপজেলার নগর বাথান এলাকায় দুর্ঘটনায় আহত হন তিন শিক্ষার্থী। পরে তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি সাইফুজ্জামান মুরাদ ও তার অনুসারী শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম এবং সমরেশ বিশ্বাস।
তৎকালীন প্রশাসন এটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে জানায়। তবে নিহতদের শরীরে আঘাত দেখে স্বজনদের ধারণা তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা না নিলে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর নিহত কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সাইফুজ্জামান মুরাদের বাবা বদিউজ্জামান বিশ্বাস বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন।
ওই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম আহমেদ সনি এবং অন্যান্য নেতাকর্মীসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। তবে সনি জামিনে মুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
মন্তব্য করুন