ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ফুঁসে উঠছে সাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। এরইমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে উপকূলের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। দানার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। মঙ্গলবারের (২২ অক্টোবর) চেয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনের তথ্য মতে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.৭° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি দুপুর ১২টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ০৩ (তিন) নম্বর (পুনঃ) ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভারি বর্ষণ, বাতাস ও সাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সবাইকে সর্বোচ্চ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এরইমধ্যে ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০ মুজিবকিল্লা এমনটাই জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।
মন্তব্য করুন