নেত্রকোনায় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে মালামাল লুট করার সময় সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছাত্রদল নেতা রফিক খান মিল্কি ও তার সহযোগী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নেত্রকোনা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মিডিয়া সেলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার রফিক খান মিল্কি ঝুনু (৩৫) নেত্রকোনা সদরের নিউটাউন এলাকার মৃত সামসুদ্দিন খান মিল্কির ছেলে। তিনি নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক। ঝুনু নেত্রকোনা জেলা কৃষক দলের সভাপতি ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান মিল্কির ছোট ভাই। তার সহযোগী সমীরন (৩০) নেত্রকোনা সদরের বলাই নগুয়া এলাকার বিজয় তালুকদারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক জিম্মি করে ঝুনু ও তার সহযোগীরা। জেলা সদরের বড়বাজার, অজহর রোড এলাকায় একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে ড্রাইভার এবং হেলপারের কাছে চাঁদা দাবি করে। চালক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের জিম্মি করে ট্রাকের মালামাল লুট করার চেষ্টা করে।
এ সময় সেনাক্যাম্পে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদল নেতাসহ দুজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও তাদের ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, রফিক খান মিল্কি ঝুনু ছাত্রদলের আদর্শকে কলঙ্কিত করেছে। সে তার বড় ভাই কৃষক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন খান মিল্কি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার আনোয়ারুল হকের ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি করে আসছে। এ ধরনের কার্যক্রম দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বহিষ্কারসহ তার প্রশ্রয় দাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্যথায় নেত্রকোনা জেলা বিএনপি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান অনিক বলেন, ঝুনুর এমন কর্মকাণ্ডের প্রতি নিন্দা জানাই। তাকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে একমত পোষণ করে সাংগঠনিক কাজে সহযোগিতা করব।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন জানান, কেন্দ্র কমিটি ঝুনুকে বহিষ্কার করেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে এর পেছনে কে কে রয়েছে তা খুঁজে বের করা হবে।
নেত্রকোনা সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন