‘শেখ হাসিনা পালায় না, ভেগে যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জের চারবারের এমপি আমান উল্লাহ আমান।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কেরানীগঞ্জের আঁটি বাজার ও হযরতপুর ব্রিজের বন্ধ হওয়া কাজ চালু করার জন্য সওজ প্রকৌশলী দলের সঙ্গে অসম্পূর্ণ সেতুগুলি পরিদর্শন শেষে হযরতপুর ব্রিজে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট আর জুলুম চালিয়েছে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন, যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন। দুদিন আগেও পালাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েও তিনি ভেগে গেছেন।
আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, এই কেরানীগঞ্জে চার বার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন। তার প্রতিদানে কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদ, কদমতলী, ওয়াশপুর ও আলীপুরে চারটি সেতু আমার নেতৃত্বে করেছি। এই সেতুর সঙ্গে রাস্তাঘাট নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে কেরানীগঞ্জকে উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা নিয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সবাই সহায়তা করবো। যাতে করে এই সরকার দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে। এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো ধরনের চক্রান্তকে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবো। ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে আপনারা ভোট দিতে পারবেন এবং আপনাদের ভোটে আবারও বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
তিনি আঁটি বাজার সেতু ও হযরতপুর সেতুর অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করতে সওজকে সাহায্য করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য আটি-ঘাটারচর সেতু, ভাওয়াল সেতু এবং হযরতপুর সেতু ২০১৮ সালের সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালে কাজ শুরু করে। ১৮ মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ শুরু হওয়ার ৪ বছর পরও কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন কেরানীগঞ্জের সাবেক জন প্রতিনিধিদের অসহযোগিতা ও ডিসি অফিস হতে জমি অধিগ্রহণ শেষ না করায় ভাওয়াল ব্রিজের কাজ শেষ করা গেলেও ঝুলে আছে এই দুই ব্রিজের কাজ।
অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে অমি, কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা, কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রুবেল, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা জাসাস আহ্বায়ক শাফায়েত হোসেন, শাক্তা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন