চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কবজি দিয়ে লিখেও বেরোবিতে চান্স, তবুও ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার

কবজি দিয়ে লিখে পরীক্ষা দেওয়া মিনারা খাতুন। ছবি : কালবেলা
কবজি দিয়ে লিখে পরীক্ষা দেওয়া মিনারা খাতুন। ছবি : কালবেলা

হাতের কবজির সাহায্যে লিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মিনারা। কিন্তু টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে মেধাবী এ শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মিনারা খাতুনের শৈশবকালের ইচ্ছা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরের কয়েক বছর পড়ার খরচ জোগানোই এখন তার মূল চিন্তা।

জন্ম থেকেই দুই হাতে কোনো আঙুল নেই মিনারার। তবুও অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে হাতের কবজির সাহায্যে লিখতে শেখেন তিনি।

মিনারা খাতুন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল দক্ষিণ বাঁধ এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলাম ও মৃত মর্জিনা বেগমের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে মিনারা ছোট।

জীবন যুদ্ধে হারতে নারাজ মিনারা। দুই হাতের আঙুল না থাকলেও, কবজির সাহায্যে লিখেই তিনি একে একে পিইসি, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় পাস করেন। পরে কারমাইকেল কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। গত ২০২২ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হন। এবারে দ্বিতীয় বারেরমতো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পান মিনারা।

ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধু অর্থাভাবে স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ বেরোবিতে ভর্তি হতে পারছেন না মিনারা। আগামীকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) বেরোবিতে ভর্তির শেষ দিন। ভর্তির শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মিনারার পরিবার।

মায়ের মৃত্যুর পর সাতবার নদীতে বাড়িভাঙনের শিকার বাবা রফিকুল ইসলাম মিনারার খালাকে বিয়ে করেন। শারীরিকভাবে মিনারা স্বাভাবিক থাকলেও তার দুহাতে কোনো আঙুল নেই। দুই হাতের কবজির সাহায্যে কলম ধরে তিনি এখন পর্যন্ত পড়ালেখা চালিয়ে আসছেন।

বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর। অভাবের সংসার তার। নুন আনতে পানতা ফুরায়। নদী ভেঙে পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ পাউবো বাঁধে আশ্রিতদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত তার।

সমাজসেবা অধিদপ্তর মিনারার নামে মাসিক ৬০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা বরাদ্দ দেয়। এ টাকায় চলত তার পড়ালেখার খরচ।

ভর্তির জন্য কুড়িগ্রাম কলেজে পূর্বের ভর্তি বাতিল করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবনের বাকি পথ কীভাবে পাড়ি দেবে তা তার জানা নেই। মিনারার বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রয়োজনে ০১৭০৪-৩১১১৯২ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিকাশে চাকরির সুযোগ, আবেদনে নেই বয়সসীমা

২১ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি 

স্কয়ার গ্রুপে চাকরির সুযোগ

ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজাকে সতর্কতামূলক পত্র এনএসসির

ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা

কবজি দিয়ে লেখা মিনারার ভর্তি নিশ্চিতের আশ্বাস বেরোবি উপাচার্যের

নাটোরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

সিকৃবির ভিসি পদে ড. আলিমুল ইসলামের যোগদান

১০

শেখ হাসিনা ফিরবেন ফাঁসিতে ঝুলতে : উপদেষ্টা নাহিদ

১১

সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ গ্রেপ্তার

১২

মধ্যরাতে উত্তাল ঢাকা কলেজ

১৩

কিউইদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়

১৪

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, নিহত ২

১৫

মাইকে ঘোষণা দিয়ে আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা

১৬

অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার এজেন্ডায় ব্যক্তিমালিকানাধীন খাত উপেক্ষিত : টিআইবি

১৭

ছিনতাই করতে ব্যবসায়ীকে গুলি করল পুলিশ-বিজিবির ৩ সদস্য

১৮

৪০০ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা হবে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

১৯

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের রক্ষা

২০
X