ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী জুলফিকার আলীকে অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ সময় চার ঘণ্টা বিদ্যুৎশূন্য ছিল কেরানীগঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎশূন্য হয়ে পড়ে সমগ্র কেরানীগঞ্জ উপজেলা।
বিদ্যুৎ বন্ধ করে কর্মবিরতির খবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা কেরানীগঞ্জের সদস্যরা, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এসিল্যান্ড ও কেরানীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রইছ আল রেজোয়ান এবং সেনাবাহিনীর মেজর রিফাতসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর সদর দপ্তরে আসেন।
জিএমের অপসারণে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন, সারা দেশে ২০ জন জিএমকে হুট করে অপসারণ করা হয়েছে। তাদের কারণ দর্শানো হয়নি। এ জন্য আমরাও যে কোনো সময় অপসারণ হওয়ার আশঙ্কা করছি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে নিরুপায় হয়ে আমরা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এসিল্যান্ড ও কেরানীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রইছ আল রেজোয়ান বলেন, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জেনারেল ম্যানেজারের অপসারণের বিষয়ে আমার আসলে করণীয় কিছু নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ইতোমধ্যে তথ্য পাঠিয়েছি।
সেনাবাহিনীর মেজর রিফাত বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলেন, আপনারা আমরা যারা জরুরি সেবা কাজে জড়িত আমরা এভাবে নিজেরা কর্মবিরতি পালন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারি না। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ের চেষ্টা চালান।
পরে বিক্ষুব্ধ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর বৈঠক শেষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বেলা সোয়া ৩টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করেন।
মন্তব্য করুন