ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হওয়া নাফিসা হোসেন মারওয়া এবারের এইচএসসি পরিক্ষায় জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাভারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নাফিসা।
তিনি গাজিপুরের টঙ্গী এলাকার শাহাজউদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল।
নাফিসার বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে বাবা আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকার আট নম্বর ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।
এ ব্যাপারে নাফিসার বাবা আবুল হোসেন কালবেলাকে জানান, মেয়ের লেখাপড়ার ক্ষতি না হওয়ার জন্য তাকে দিয়ে কখনো রান্না করাতাম না। ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শিখে মেয়ে আমার অনেক বড় অফিসার হবে। কিন্তু স্বৈরাচারী ঘাতকের বুলেটে আমার মেয়ের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আজকে আমার মেয়েটা ইন্টার পাস করছে কিন্তু সে তার ফলাফলটা দেখে যেতে পারল না। গত ১৮ জুলাই আমাকে না জানিয়ে নাফিসা উত্তরায় ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। পরে আমি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েকে জোর করে ঘরে আটকে রাখি। কিন্তু আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে আগস্টের ৩ তারিখ সাভারের বক্তারপুর এলাকায় তার মামার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে তার স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে সাভারে আন্দোলনে যোগ দেয়। পরে ৫ আগস্ট আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় আমার কলিজার টুকরা নাফিসা।
মন্তব্য করুন