ঢাকার সাভারে এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুসল্লিদের বিরুদ্ধে চাকুলিয়ার কথিত পীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীরের করা হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সাভার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। চাকুলিয়া গ্রামের সাধারণ জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনটি আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন, কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর একজন ভণ্ডপীর। তিনি কয়েক বছর আগে এলাকায় গরুর খামারের তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রবাসে মিস্ত্রির কাজ করতেন। ২০০৮ সালে তার বাবা আফসার উদ্দিন সেন্টু মারা যাবার পর কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে নিজ বসতঘরের মেঝেতে তার লাশ সমাহিত করেন। এর কয়েক দিন পর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে কবরটিকে মাজার হিসেবে রূপদান করে নিজেকে খেলাফতপ্রাপ্ত পীর হিসেবে প্রচার চালিয়ে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মভীরু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ধর্ম ব্যবসা চালু করেন। ওরশের নামে নারী-পুরুষদের নিয়ে রাতভর নাচানাচি করেন। শুধু তাই নয়, তার আস্তানায় মাদক সেবন করে নিঃসন্তান নারীদের ভিন্ন পর পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা করিয়ে কবিরাজী চিকিৎসা করেন তিনি। এ কারণে সমাজের নারী-পুরুষ ও যুবকরা কুসংস্কার ও ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই ভণ্ড পীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীরের আস্তানা উচ্ছেদ ও তার কার্যকলাপ বন্ধ করা প্রয়োজন।
বক্তারা আরও বলেন, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ ও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও কয়েকজন মুসল্লি গত ২৯ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের পর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে তাদের উপর ফুটন্ত গরম পানি শরীরে ঢেলে দিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে মাওলানা তৈয়বুর রহমান, মাওলানা সাইদুর রহমান, মোশারফ, সাকিব ও পরশ গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হযন। পরে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইদুর রহমানসহ আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে কাজী জাবের তার অনুসারীদের দিয়ে নিজের বাড়িতে নিজেই ভাঙচুর চালিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পীরের বাড়িতে হামলা হয়েছে মর্মে অপপ্রচার চালিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়। আহতরা সুস্থ হলে সাভার মডেল থানায় কাজী জাবেরসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে এ বিষয়ে আরেকটি কাউন্টার মামলা করে। সেখানে হয়রানির উদ্দেশ্যে স্থানীয় ইমাম ও ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করে গ্রামের কয়েকশ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির বিরুদ্ধে মামলা দেয়। সেই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ভণ্ডপীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
মন্তব্য করুন