বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি বৈষম্যহীন সমাজ চায়। আমরা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর মজলুম ছিলাম। আজ গোটা জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আগামী দিনে আমরা যেন এই চট্টগ্রাম থেকে ইসলামী বিপ্লবের সূচনা করতে পারি- প্রত্যেক সদস্যদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় নগরীর কাজিরদেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কাউকে সন্তুষ্ট করতে কোনো কিছু করা যাবে না। যা কিছু করতে হবে সব হবে আল্লাহর জন্যে। মুমিনের সব কাজ হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। প্রত্যেক সদস্যকে বিচক্ষণতার অধিকারী হতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাওয়া যাবে না। দ্বীনের সৌন্দর্য হচ্ছে সবার সঙ্গে সাম্য রক্ষা করা। তবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি আলহাজ মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধরী বলেন, ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের ধারা থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আর কোনো ফ্যাসিবাদকে এই জমিনে মাথা ছাড়া দিতে দেওয়া হবে না। ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করছে।
তিনি বলেন, আজকের সমগ্র বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছে। গত ১৮ বছরে দুর্নীতি, লুটপাট করে, ভূমি দখল থেকে শুরু করে নৈরাজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশকে যে সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে সে অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যে টাকাগুলো পাচার হয়েছে শুধু দুই পরিবার থেকে যে টাকা পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে পারলে ৩ বছরের বাজেট হয়ে যাবে। আগামী দিনের বাংলাদেশে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে রুকন ভাইদের ভূমিকা পালন করতে হবে। সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব না হলে বাংলাদেশের কোনো কল্যাণ হবে না। ইসলামের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন