গহিন সুন্দরবনে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ৪৫ কেজি মাংসসহ ইয়াকুব সানা (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোর রাতে নৌবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথবাহিনীর অভিযানে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি হরিণের মাথা ও পা জব্দ করা হয়।
আটক হওয়া ইয়াকুব কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা গ্রামের আব্দুল হামিদ সানার সানার ছেলে।
কয়রা থানায় নিয়োজিত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লে. কমান্ডার ফয়সাল আল ইমরান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন একটি চক্র হরিণ শিকারের সঙ্গে যুক্ত। সেই ভিত্তিতে নিয়মিত টহল পরিচালনার সময় হরিণের মাংসসহ ইয়াকুব সানা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করি। আটক ইয়াকুবের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জব্দকৃত মালামালসহ কয়রা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে হরিণ শিকারের ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য করে বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) চিত্রা ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ বলে তালিকাভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২-এর তফসিল-২ অনুযায়ী এই বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা, শিকার বা এর কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মন্তব্য করুন