বগুড়ায় শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষদিন বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার বিদায়ের আগ মুহূর্তে পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী তরুণীরা। সুন্দর ও মঙ্গলময় আগামীর প্রত্যাশার সঙ্গে জীবনকে রঙের মতো রঙিন করতে সকাল থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ছিল সিঁদুর উৎসব। একে অন্যকে সিঁদুরে রাঙানোসহ ঢাক-ঢোলের তালে আনন্দে ভাসছেন। সিঁদুরময় এই আনন্দ উচ্ছ্বাসে তরুণ-তরুণীদেরও উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বগুড়া শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে শারদীয় দুর্গাপূজার মহাদশমীতে সিঁদুর খেলার আয়োজন লক্ষ্য করা যায়। বিদায়ক্ষণে দেবীর আরাধনা শেষে সন্ধ্যা থেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
বগুড়ার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, ভক্তরা একে অপরের কপালে সিঁদুর দিচ্ছেন। গালে গালে কেটে দেন সিঁদুরের আঁচড়। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন ভক্তরা এবং সাধারণ দর্শনার্থীরা পরিদর্শন করেন বিভিন্ন মণ্ডপ। সকাল থেকেই তারা দেবী দুর্গার দর্শন পেতে ছুটছেন মণ্ডপগুলোতে। মণ্ডপে মণ্ডপে যাচ্ছেন আর মনের বাসনা পূরণে মায়ের আশীর্বাদ কামনা করছেন তারা।
প্রতি বছরের মতো এবারও চেলোপাড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে সিঁদুর খেলতে ও দেবী দুর্গা মায়ের আশীর্বাদ নিতে আসা ভক্তরা জানান, আজ দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে হবে। ধর্মীয় বিধানমতে দেবী দুর্গাকে ধরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই বিদায়ের দিন হওয়ায় সকালে সবাই পূজামণ্ডপে এসেছেন তারা।
পূজামণ্ডপে আসা ভক্তরা বলেন, পূজা অর্চনা করেছেন। অতীত জীবনের পাপ মোচন ও অশুভ শক্তির কবল থেকে বাঁচতে দেবী দুর্গার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেছেন। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের সব সদস্যই নাচে-গানে ও সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন।
বগুড়া পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, ‘সন্ধ্যার মধ্যেই বিসর্জনের মাধ্যমে এ বছরের দুর্গোৎসব শেষ হবে।’
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় জানায় ‘জেলায় এবার ৬২৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং প্রশাসনের সার্বিক নির্দেশনায় ও নিরাপত্তায় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
মন্তব্য করুন