প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমাদের কাজ-কর্মের মাধ্যমে এ দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। কে জামিন পেল আর কে পেল না এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এটাই আমাদের প্রত্যয়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহার) গ্রামের বাড়িতে পূজামণ্ডপ ও কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শহীদ দানবীর আরপি সাহা ছিলেন একজন সমাজসেবক। তার কৃতকর্মের জন্য তিনি যুগযুগ ধরে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। এই পরিবারের সঙ্গে আমাদের অনেক পুরোনো সম্পর্ক। এখন উৎসবের সময় যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে শামিল হতে পারা আমাদের সৌভাগ্য।
কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখে লাইব্রেরি মিলনায়তনে চা চক্রে মিলিত হন প্রধান বিচারপতি। পরে মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহাম্মদ নাজিমুদৌল্লাহ, জেলা প্রশাসক শরীফা হক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান এবং পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানজু।
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, শম্পা সাহা, শ্রীমতি সাহা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম, এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান।
কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, জেনারেল ম্যানেজার অনিমেশ ভৌমিক লিটন, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এম এ হালিম, ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ মন্দিরা চৌধরী, নার্সিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার রীনা ক্রুস, মেট্রন সিস্টার দীপালী পেরেরা ও উপাধ্যক্ষ সিস্টার শেফালী সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন