‘বাংলার ন্যাচার বলি বা স্বাভাবিক জীবনযাপন বলি সবাই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখে বসবাস করে আসছে। এর ভেতরে হয়ত কিছু দুষ্কৃতকারী রাজনৈতিকভাবে হোক, অর্থনৈতিকভাবে হোক কিংবা অভ্যন্তরীণ হোক তারা সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির ভেতর কালিমা লেপনের চেষ্টা করে। তারা যেন সেই সুযোগ না পায়। পূজার শেষ সময়েও সবার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। শেষ সময়েও সবাইকে অ্যালার্ট থাকতে হবে। যেহেতু আগামী রোববার বিসর্জন, আমরা যদি এখন একটু স্বস্তিতে থাকি তাহলে যে কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা ঘটে যেতে পারে’।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌর সদরের জগদ্বেশ্বরী কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক।
এর আগে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ডিগনিটি বক্স, ফ্যামিলি কিট বক্স ও এককালীন অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাবরিনা লিনার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮০ পরিবারকে ডিগনিটি বক্স ও ফ্যামিলি কিট বক্স এবং ৬৪ পরিবারের মাঝে ৭ হাজার টাকা নগদ অর্থ তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সিএসপিবি প্রকল্প এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
পরবর্তীতে দুর্গাপূজা পরিদর্শনের সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জগদ্বেশ্বেরী কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির কমপ্লেক্সের সভাপতি সুদর্শন রায়, সাধারণ সম্পাদক জহরলাল নাথ অভি, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সুভাষ সরকার, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযপান পরিষদের সভাপতি পরিমল কর্মকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন