চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে কবির আহম্মদ সওদাগর (৭০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে নিহতের ছেলে দিদারুল আলম বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। পরে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৮) ও বারইয়ারহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হিঙ্গুলী এলাকার মৃত খুরশীদ আলমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (৪৫)।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট পৌরসভার গাছ মার্কেটের দিদার টিম্বার ডোর অ্যান্ড ফার্নিচার দোকানে উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য কবির আহম্মদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয় কবির আহম্মদের দুই ছেলে দিদারুল আলম ও জামশেদ আলমসহ দোকানের কয়েকজন কর্মচারী।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, বারইয়ারহাট পৌরসভার গাছ মার্কেটে কবির আহম্মদের মালিকানাধীন দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নাসির উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ কবিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। রাতে কবির আহম্মদের ছেলে দিদারুল আলম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা নং-০৭ দায়ের করেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী।
মন্তব্য করুন