ভালো চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা হাতে তুলে দিয়ে কৌশলে এক নবজাতককে নিয়ে উধাও হয়েছেন এক নারী। ফাঁদে পা দিয়ে নবজাতকের নানি চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ওই নারীর হাতে তুলে দেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা মো. সুমন মিয়া। তার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর গ্রামে। সুমনের স্ত্রীর নাম মনি খাতুন। সন্তান প্রসবের জন্য গত ৪ অক্টোবর মনিকে রামেক হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববার (৬ অক্টোবর) মনি খাতুন একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চাটির জন্মের পর ওজন ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এ জন্য বাচ্চাটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এক নারী মাস্ক পরা অবস্থায় বাচ্চার মাকে সন্তানের ভালোমন্দ বিষয়ে খোঁজ নেন। ওই নারী তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাইরের একটি ক্লিনিকে ভালো ডাক্তার আছে। সেখানে দেখালে তার বাচ্চা ভালো হয়ে যাবে। এ বিষয়ে নবজাতকের নানি রুমি বেগমকে জানালে তিনি বাচ্চার সুস্থতার জন্য ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন।
মনি খাতুন জানান, ওই নারী তার মাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাচ্চাদের চিকিৎসা ও টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। এরপর তার মা রুমি বেগম বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বাচ্চার মাকে বলেন, ‘বাচ্চার গরম লাগছে। বাইরে থেকে বাতাস খাইয়ে নিয়ে আসি।’ এই বলে তার ছেলেকে বাইরে নিয়ে যায়।
এদিকে বাটার মোড়ের এক হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে বোরকাপরা দুই মহিলা হোটেলে প্রবেশ করছে। তার পাশেই নবজাতককে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তার নানিকে।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনা জানার পর থেকে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানিয়েছি। সব সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে এবং পুলিশের সহযোগিতায় খুব দ্রুত সমাধানে আসতে পারব বলে আশা করি।
রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘আটকের বিষয়টি সে রকম নয়। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক ছিল। ওই নারীর কাছ থেকে তারা কিছু টাকাও নিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন