‘আল্লাহ কী দেহালো, একটা মানুষও বাঁইচা নাই যে কী দিয়ে কী হলো বলবে। কোনো কিছু বলার নাই। আল্লাহ সবগুলো মানুষ নিয়ে গেলো’ কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খাঁদে পড়ে নিহত শাওনের খালা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে ঢাকা-পিরোজপুর সড়কের নুরানীগেট সংলগ্ন এলাকায় খালে প্রাইভেটকার পড়ে ৮ জন নিহত হন। এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি জেলার নাজিরপুর উপজেলা হোগলাবুনিয়া গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাওন মৃধা উপজেলা হোগলাবুনিয়া গ্রামের মৃত আসাদুজ্জামান মৃধার ছেলে। শাওনরা পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন।
শাওনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাওন ও তার বন্ধুর পরিবারসহ কুয়াকাটা থেকে বেড়িয়ে মামা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ৩টার দিকে গাড়ি পিরোজপুরের নুরানীগেটে এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শাওন ও তার বন্ধুসহ ৮ জনই মারা যায়।
নিহত শাওনের মামাত বোন রিমা আক্তার বলেন, শাওন ভাই আমাকে সন্ধ্যায় ফোন করে কুয়াকাটা থেকে আমাদের বাড়িতে আসার কথা বলে। তখন তার সঙ্গে ভাবি ও ভাইয়ার বন্ধুসহ ৮ জনের খাবার রান্না করার কথা বলে। আমরা খাবার রান্না করে রাত আড়াইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। আমার সঙ্গে তাদের রাত ১টা সময় কথা হয়। এরপর আর কথা হয়নি। সকালে ঢাকা থেকে বড় ভাই ফোন করে তাদের নিহতের কথা জানান।
শাওনের বড় মামা বাবুল ফকির বলেন, আমরা ফজরের আজানের সময় শুনেছি ও (শাওন) গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে।
জেলা সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটি পানিতে পড়ার কারণে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। আটজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আবদুস সোবাহান জানান, আমরা রাতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৮টি মরদেহ উদ্ধার করি। তাদের মধ্যে চারজনের বাড়ি নাজিরপুরে উপজেলা হোগলাবুনিয়া গ্রামে।
উল্লেখ্য, নিহত ৮ জনের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি শেরপুর জেলায় এবং ৪ জনের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায়।
মন্তব্য করুন