হিজাব পরায় এক শিক্ষককে হেনস্থা ও বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে। তিনি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে তার দাবি, এ ধরনের কিছুই ঘটেনি।
হেনস্থার শিকার শিক্ষকের নাম নার্গিস আক্তার (মাহবুবা নার্গিস)। তিনি উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার (৯ অক্টোবর) ওই শিক্ষিকার স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এতে ঘটনাটি উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাখাই উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসানের কাছে অর্জিত ছুটি নেওয়ার জন্য যান। এ সময় শিক্ষা অফিসার তাকে হিজাব খুলতে বলেন। ওই শিক্ষিকা হিজাব খুলতে অনীহা প্রকাশ করলে শিক্ষা কর্মকর্তা বাজে মন্তব্য করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানান, চিকিৎসাকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক তার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেন। কারণ তিনি পর্দায় আবৃত ছিলেন এবং পর্দা করে চলেন। একপর্যায়ে অফিসে ওই কর্মকর্তা তাকে মুখ খুলতে জোর করলে তিনি বাধা দেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করেন, কোথায় এমন কথা বলা আছে যে, এভাবে পর্দা করতে হবে? ইসলামে এসব নাই। চাকরি করলে এভাবে চলতে পারবেন না। মুখ খুলতেই হবে। উত্তরে এ শিক্ষিকা বাচ্চাদের সামনে মুখ খুলেই ক্লাস করেন জানালে তিনি আরও খারাপ আচরণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অর্জিত ছুটি নিতে হলে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকতে হয়। আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু তিনি উত্তর দিতে পারেননি। হিজাব খোলার কোনো আলাপ হয়নি বিষয়টি মিথ্যাচার।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে সুরাহার উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। আসলে কী ঘটেছিল খোঁজ নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন