বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হিজাব পরায় শিক্ষা অফিসারের হেনস্তার শিকার শিক্ষক

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক। ছবি : সংগৃহীত
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক। ছবি : সংগৃহীত

হিজাব পরায় এক শিক্ষককে হেনস্থা ও বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে। তিনি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে তার দাবি, এ ধরনের কিছুই ঘটেনি।

হেনস্থার শিকার শিক্ষকের নাম নার্গিস আক্তার (মাহবুবা নার্গিস)। তিনি উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

গত সোমবার (৭ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার (৯ অক্টোবর) ওই শিক্ষিকার স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এতে ঘটনাটি উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাখাই উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসানের কাছে অর্জিত ছুটি নেওয়ার জন্য যান। এ সময় শিক্ষা অফিসার তাকে হিজাব খুলতে বলেন। ওই শিক্ষিকা হিজাব খুলতে অনীহা প্রকাশ করলে শিক্ষা কর্মকর্তা বাজে মন্তব্য করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানান, চিকিৎসাকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক তার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেন। কারণ তিনি পর্দায় আবৃত ছিলেন এবং পর্দা করে চলেন। একপর্যায়ে অফিসে ওই কর্মকর্তা তাকে মুখ খুলতে জোর করলে তিনি বাধা দেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করেন, কোথায় এমন কথা বলা আছে যে, এভাবে পর্দা করতে হবে? ইসলামে এসব নাই। চাকরি করলে এভাবে চলতে পারবেন না। মুখ খুলতেই হবে। উত্তরে এ শিক্ষিকা বাচ্চাদের সামনে মুখ খুলেই ক্লাস করেন জানালে তিনি আরও খারাপ আচরণ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অর্জিত ছুটি নিতে হলে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকতে হয়। আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু তিনি উত্তর দিতে পারেননি। হিজাব খোলার কোনো আলাপ হয়নি বিষয়টি মিথ্যাচার।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে সুরাহার উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। আসলে কী ঘটেছিল খোঁজ নিচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ড. ইউনূসের অনুরোধ রাখলেন ট্রাম্প

মেক্সিকোর স্বনামধন‍্য ম্যাগাজিনের কভারে জায়গা পেল বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলন

চীন ছাড়া সব দেশের ওপর নতুন শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

‘ধর্মনিরপেক্ষতা-বহুত্ববাদ’র সঙ্গে একমত নয় বিএনপি’

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৪ বাংলাদেশি

ইসরায়েলী গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রকৌশলীদের মানববন্ধন

কয়রায় ব্যক্তি স্বার্থে এনসিপিকে বিতর্কিত করার মিশনে একটি সিন্ডিকেট

আট মাস ধরে কাজি পলাতক, তবুও চলছে বিয়ের কার্যক্রম

সড়ক ও স্থাপনা থেকে শেখ হাসিনা-রাসেলের নাম বাদ দিল চসিক

৩০ একর জমির মালিকানা নিয়ে রশি টানাটানি

১০

বৈশাখ ঘিরে পালপাড়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা

১১

মৃত্যুর পর বদলির আদেশ পেলেন অধ্যাপক মুত্তালিব

১২

তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলা, আটক স্বেচ্ছাসেবক দল-যুবদল নেতা

১৩

ড্রোন নিয়ে দেশজুড়ে নতুন পরিকল্পনা ইরানের

১৪

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন খলিলুর রহমান

১৫

ডিসেম্বরকে টাইমলাইন ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে : ইসি আনোয়ারুল

১৬

এনসিপি ও হেফাজতের বৈঠক, আ.লীগের বিচারে ঐকমত্য

১৭

পৌরসভার লোকবল দিয়ে চলছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন

১৮

ইস্টার সানডেতে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

১৯

ঘরের মাঠে কামব্যাক করতে পারবে তো রিয়াল?

২০
X