সুনামগঞ্জের শাল্লায় দুর্গাপূজার মণ্ডপে লাগানোর জন্য বরাদ্দ সিসি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া খোঁজ পাওয়া যায়নি ৩২টি পূজামণ্ডপে ব্যবহৃত শত শত ফুট ক্যাবলেরও।
বুধবার (৯ অক্টোবর) উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা এসব অভিযোগ করেছেন।
পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকার কথা কালবেলাকে জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব জয়ন্ত সেন।
তাদের অভিযোগ গত বছর (২০২৩) পূজার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলার ৩২টি মণ্ডপের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ১৬ টন চাল বিক্রির অর্থ দিয়ে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা, ৩২টি হার্ডডিস্ক, কয়েকশো ফুট ক্যাবলসহ মালামাল ক্রয় করেন। গত বছর ৩২টি পূজামণ্ডপে ৩২টি হার্ডডিস্ক ও প্রতিটি মণ্ডপে দুটি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। পূজার পরে (২০২৩) প্রতিটি পূজা মণ্ডপ থেকে এসব মালামাল সংরক্ষিত রাখার কথা বলে উপজেলা প্রশাসন নিয়ে যান।
পূজার এসব মালামাল সুরক্ষিত রাখার পরিবর্তে হয়ে গেল গায়েব। উপজেলা পরিষদের সংরক্ষণাগার থেকে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল উধাও হয় এ ঘটনায় হতবাক উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে কালবেলার সঙ্গে কথা হয় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসের।
তিনি বলেন, বিগত বছরের (২০২৩) ৩২টি পূজা মণ্ডপের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাল বিক্রি করে ৩২টি পূজামণ্ডপে ৩২টি হার্ডডিস্ক ৬৪টি সিসি ক্যামেরাসহ কয়েকশো ফুট ক্যাবল ক্রয় করা হয় তৎকালীন ইউএনওর নির্দেশে। অথচ এসব ক্রয়কৃত পূজা কমিটির মালামাল উধাও হওয়ায় আমরা অনেকটা হতবাক হয়েছি। প্রশাসনের হেফাজতে থাকা এসব মালামাল গেল কোথায়? বিষয়টি তদন্ত করা দরকার। বর্তমান প্রশাসনের কাছে কিছু মালামাল রয়েছে। এসব ঠিকঠাক রয়েছে কি না পূজা শুরু হলেও আমরা এখনো জানতে পারিনি।
উপজেলার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. আলাউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় ৯টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। বাকি হার্ডডিস্ক ও ক্যামেরাগুলো কোথায় আছে তার জন্য ইনভেস্টিগেশন করতে হবে।
মন্তব্য করুন