ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানবাহনের ধীরগতি ও খানাখন্দকের কারণে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার অংশজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যানজটের তীব্রতা বেড়েছে। এতে যাত্রী-চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে এই যানজট দেখা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও মহাসড়কের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় খানাখন্দকের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চারদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এতে প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
যানজটের মধ্যে একতা পরিবহনের বাসে বসে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী আবির মিয়া। তিনি বলেন, আধা ঘণ্টায় একটুও গাড়ির চাকা ঘুরেনি। গন্তব্যস্থলে কখন গিয়ে পৌঁছবো বুঝতে পারছি না। ফলে যানজটে বসে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছি।
বন্ধু পরিবহনের বাসচালক আমির হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে যানজট দেখছি। গাড়ি খুব ধীরগতিতে চলাচল করছে। যানজট ঠেলে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। অনেক যাত্রী বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে চলে গেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় খানাখন্দের কারণে মূলত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তার ওপরে ভোর থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যাত্রী চাপ বেড়েছে। এসব কারণে মাহসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য করুন