বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১
মিঠু দাস জয়, সিলেট
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিলেটে বাড়ছে ডিজিটাল সেবাগ্রহীতার সংখ্যা

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা, পাড়া মহল্লায় একসময় লেটার বক্স দেখা গেলেও এখন আর নেই। তবে, বাংলাদেশ বেতার সিলেট অফিসের সামনে এখন বিশেষ ব্যবস্থায় একটি লেটার বক্স স্থাপন করেছে সিলেট ডাকঘর।

ডাকঘর সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত চিঠি চালাচালির চেয়ে দাপ্তরিক ও বৈদেশিক ডাকসেবা, এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস (ইএমএস), গ্যারান্টেড এক্সপ্রেস পোস্ট (জিইপি), ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিসসহ (ইএমটিএস) নতুন নতুন সেবা যুক্ত হয়েছে। তবে সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বীমা, মানি অর্ডার ও পোস্টাল অর্ডার সেবা এখনো ডাকঘরগুলোয় বহাল আছে।

এ ছাড়া ডাকঘরে ডাক অধিদপ্তরের বিভিন্ন ডাক সেবার পাশাপাশি এজেন্সি সেবা হিসেবে অর্থ বিভাগের কতিপয় আর্থিক সেবা, যেমন—ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বীমা সেবা প্রদান করছে। বর্তমানে ডাক জীবন বীমা পলিসি। এ সুযোগ গ্রহণকারীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছেই।

ডিজিটাল প্রযুক্তির দাপটে বর্তমানে ডাক বাক্সের কদর নেই বললেই চলে। কেননা আধুনিকতার ছোঁয়ায় ডাক বাক্সের চাহিদা ও ব্যবহার দুটিই যেন অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। ফলে ব্যবহার না হতে হতে এসব ডাকবাক্স এখন অযত্ন-অবহেলায় ভেঙে পড়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেকার আহমদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডাক বিভাগের বক্স ছিল; কিন্তু এখন কালের বিবর্তনে এগুলো নেই। মানুষ সবসময় সার্ভিস চায়। ডাক বিভাগের মাধ্যমে ডকুমেন্টস সময়মতো না পৌঁছার কারণে এখন মানুষ বেশিরভাগ বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্যান্য মাধ্যমে সহজে কম সময়ে ডকুমেন্টস আদান-প্রদান করে। এখন তাদের গুরুত্বটা বেড়ে গেছে। আমার কাছে মনে হয়, এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। বিশেষ করে আমরা যদি মহানগরী এলাকার সরকারি চিঠিগুলো প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের মাধ্যমে ফের দেওয়া শুরু করি, তাহলে মনে হয় আমরা ডাক বিভাগের আগের ইতিহাসটা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবো।

সিলেটের প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল কাম পোস্টমাস্টার প্রধান তন্ময় দে চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, সিলেট ডাক বিভাগে সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ হাজার রেজিস্ট্রারি ডাক দ্রব্যাদি ইস্যু হয়েছে। তবে পার্সোনাল লেটারের চাহিদা কমে গেছে। ডাক বিভাগের ডাক দ্রব্যাদির পরও সঞ্চয়পত্রের কাজ এগিয়ে আছে। আর এখন আমাদের একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেশ এবং বিদেশে প্রেরক এবং প্রাপকের মোবাইল নম্বর ইস্যু থাকলে জমা বা প্রাপ্তি হলেই মেসেজ চলে যায়।

তিনি জানান, বর্তমান সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগে আমরা সিলেট প্রধান ডাকঘর কাজ করে যাচ্ছি। সিলেটে অনেক জনবল সংকট রয়েছে। জনবল সংকট কেটে গেলে আমরা আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব। মানুষকে ডাকমুখী করতে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সিলেট প্রধান ডাকঘরে ই-কমার্স সেবা চালু হয়েছে। আমরা ই-কমার্সের মাধ্যমে ভালো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় ১৭ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী আটক

১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন / ডিসি নিয়োগে দুর্নীতি তদন্তে উপদেষ্টা কমিটির গেজেট প্রকাশ

‘আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে’

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের সেরা ৩০-এ ব্লাডলিংকের তামজিদ

বিএনপির ৩ সংগঠনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা

টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা আর নেই

জেহাদ দিবসে তারেক রহমানের বাণী

আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত

মেয়েকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া গেলেন মির্জা ফখরুল

আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে রাখা জনগণের সাথে প্রতারণা : হাসনাত

১০

সিলেটে বাড়ছে ডিজিটাল সেবাগ্রহীতার সংখ্যা

১১

দুই শিশুকে নিয়ে শিবির অফিসে মা, সেক্রেটারি জেনারেলের আবেগঘন স্ট্যাটাস

১২

মাদকসেবন করতে এসে বান্ধবীসহ আটক ২

১৩

বিপিএলে সাকিব খেলবেন চিটাগাং কিংসে!

১৪

আওয়ামীপন্থি দুই গ্রুপে অস্থির অর্থনীতি সমিতি 

১৫

ইন্টারনেটের গতিতে হারিয়ে গেছে চিঠির সেই আবেগ

১৬

ভারতের কাছে আবারও শান্তদের অসহায় আত্মসমর্পণ

১৭

পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হাবিব

১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন শহীদ আবু সাঈদের বোন

১৯

কবি পিতা হত্যার বিচার চায় চার শিশু

২০
X