দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে পূজার ছুটিতে আমদানি বন্ধ থাকায় তিন দিনের ব্যবধানে হিলিবন্দরের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ২০ টাকা। অন্যদিকে আমদানি বাড়লেও কমেনি কাঁচামরিচের দাম। হঠাৎ এসবের দাম বাড়ায় হতাশ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) হিলির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন আগেও এই বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকা কেজি। আজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে কয়েকদিন ধরে হিলি স্থলবন্দরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচের আমদানি। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) একদিনে বন্দরে ভারতীয় ৪৯টি ট্রাকে ৪৪০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ২২০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছিল ২৪০ টাকা কেজি। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমে আজ তা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। তবে বন্দর বন্ধ হওয়ায় মরিচের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হাবিবুর রহমান নামে একজন বলেন, এক সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে কিনলাম। সেই পেঁয়াজ আজ কিনলাম ৯০ টাকা কেজি। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষরা যারা দিনে এনে দিনে খাই তাদের কীভাবে চলবে।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা রইসুল ইসলাম বলেন, দেশে একটানা ভারি বর্ষণের কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম হয়। দেশে এজন্য মরিচের দাম বাড়ছে। বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ভারত থেকে আমদানি করছে। কিন্তু মানুষের উপকার কী হচ্ছে। দাম তো ঠিকই ২০০ টাকারও বেশি।
হিলি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, গত ২/৩ দিন বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। কাঁচামরিচের দাম কয়েকদিন থেকে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমছে। হিলি পোর্ট পূজার জন্য বন্ধ। দাম বাড়ান বড় বড় ব্যবসায়ীরা, আমাদের কিছু করার থাকে না।
হিলি বন্দরে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিকারক বাবুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজে তেমন লাভ নেই। ভারত থেকে আনতেই ৮৫ টাকা পড়ছে, লাভ না হয়ে উল্টো লোকসান হচ্ছে। তাই কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি না। তবে কাঁচামরিচ আমদানি করছি।
তিনি বলেন, বর্তমান কাঁচামরিচ আমদানি অনেক বেশি হচ্ছে। মঙ্গলবার ৪৯ গাড়ি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দরে। পেঁয়াজের দাম বাড়লেও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।
মন্তব্য করুন