সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, আজ থেকে সাতক্ষীরার কোনো দপ্তরে ঘুষ নেওয়ায় অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্লাস বাদ দিয়ে কোচিং, ডিউটি বাদ দিয়ে ক্লিনিকে রোগী দেখার ব্যবসা চলবে না। ফাইল আটকে ঘুষ চাওয়া আর অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা আদায় করা একই কথা। আমার মোবাইল নম্বর সবার জন্য উন্মুক্ত। যখন যে প্রান্ত থেকে দুর্নীতির কোনো খবর পাব সেখানে আমি পৌঁছে যাব।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় আশাশুনিতে এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হলরুমে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুধীজনদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। অতিথি হয়ে ছিলেন আশাশুনি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হুসাইন, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম।
উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ আরও বলেন, এতদিন যা করেছেন তো করেছেন। আজকের সাতক্ষীরায় আমার অধীনে চাকরি করতে গেলে সঠিক ও ন্যায়ের পথে থাকতে হবে। কোনো ধরনের ঘুষ-দুর্নীতি করলে আমি সেই কর্মকর্তাকে কোনো অবস্থায় ছাড় দেব না। এখন থেকে উপজেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ নিন। কেউ দুর্নীতি করবেন না, অপরকে করতে দেবেন না।
আসন্ন দুর্গাপূজায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দুষ্কৃতকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সরকার আমাদের জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পাঠিয়েছে। কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করবেন না।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনারা চোখ-কান খোলা রাখবেন। যে কোনো দুর্নীতি প্রতিরোধকল্পে আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারব।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তারা সংক্ষিপ্ত আকারে উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, নায়েবে আমির নুরুল আবছার, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নীলকণ্ঠ সোম, আশাশুনি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চলসহ উপজেলার সব সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন