ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে শটগান নিয়ে দোড়ঝাঁপ করা আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজালালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (৭ অক্টোবর) গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মো. শাহজালাল (৪৫) ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালালের নেতৃত্বে আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। হাতে শটগান নিয়ে ছাত্র–জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে তৎপরতা চালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ছাড়া লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ না থাকলেও অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে অপতৎপরতা চালান শাহজালাল। ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে শটগান নিয়ে অপতৎরতা চালান তিনি। তার আগ্নেয়াস্ত্রটি ইতোমধ্যে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরের মিন্টু কলেজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রেদোয়ান হোসেন (২৪)। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল চরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজালালকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাগর। সেই সাগর হত্যা মামলায় শাহজালালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বিকেলে শাহজালালকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন