সাতক্ষীরা চেস্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটকের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার দেখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
জানা যায়, শনিবার (০৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের নিউ মার্কেটস্থ মিঠু খানের যৌথ বাসভবনে (ভাইবোনদের) প্রবেশ করে। প্রথমে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থিত মিঠু খানের অফিসে প্রবেশ গিয়ে তাকে না পেয়ে ফ্লাটে ২ ঘণ্টা অভিযান চালায়। অভিযান শেষে লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র এবং গুলিসহ রাত ২টার দিকে মিঠু খানকে নিয়ে যান তারা।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, শক্ত কিছু এলিগেশন আছে মিঠু খানের বিরুদ্ধে। কিছু মামলাও আছে। তার এবং তার অ্যাসোসিয়েটসদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সময়মতো সব জানানো হবে।
নাছিম ফারুক খান মিঠুর ছেলে শাফিন আরমান জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট সাতক্ষীরা থানা পোড়ানো, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ এনে আমার বাবাকে হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে সময় থানায় হামলা-ভাঙচুর হয় সে সময় বাবা বাসায় ও বাসার অফিসে ছিলেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা চেস্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সহসভাপতি কামরুজ্জামান মুকুল বলেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু কোনভাবেই সদর থানা পোড়ানো সঙ্গে জড়িত না। শত্রুতামূলকভাবে একটি পক্ষ তাকে ফাঁসাতেই বাহিনীর কাছে এ ধরনের তথ্য দিয়ে তাকে আটক করিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ অনেক ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনার মামলায় চেম্বারের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু কোনোভাবেই জড়িত না। তিনি হামলা করেছেন এটি বলা হাস্যকর।
মন্তব্য করুন