নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে অন্যতম একটি গোপালপুর-রামপুর সড়ক। প্রায় ৮ কিলোমিটার অংশজুড়ে এই সড়কের বেহাল দশা। সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দ আর বড় গর্তে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যায়। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় নানা দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী, যাত্রীসহ পরিবহন চালকদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কজুড়ে কার্পেটিং উঠে ভেঙে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একেকটা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা খানাখন্দে পানিতে ভরে যায়। কাঁদামাটি-পানি অতিক্রম করে যানবাহন চলাচল করতে হয়। প্রায় লাখো মানুষ নানান প্রতিকূলতা আর ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে এ সড়কে।
কেন্দুয়া-নেত্রকোনা মহাসড়কের রামপুর থেকে গোপালপুর বাজার পর্যন্ত একমাত্র সড়ক হওয়ায় বলাইশিমুল, দলপা, আশুজিয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা সদর উপজেলা এবং আটপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচলের অবলম্বন এ সড়ক।
এই সড়ক দিয়ে গোপালপুর কলেজ, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, আশুজিয়া জি কে ইনস্টিটিউট, বালিগঞ্জ বাজার, রাজিবপুর বাজারসহ বেশকিছু মাদ্রাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনকে চলাচল করতে হয়। সড়কটি খানাখন্দে ভরা থাকায় অনেক যানবাহন ইতোমধ্যে কমে গেছে। ফলে কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীহ জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তফাজ্জল তালুকদার বলেন, রামপুর-গোপালপুর সড়কের বেহাল অবস্থা। দ্রুত সংস্কার করা হলে জনসাধারণ অনেক উপকৃত হবে।
গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, রামপুর-গোপালপুর সড়কটি এতই খারাপ যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে রোগী কিংবা গর্ভবতী নারীদের জেলা সদরে নিতে হলে ৫-৭ কিলোমিটার ঘুরে অন্য সড়কে যেতে হয়। আবার বৃষ্টি হলে বড় বড় গর্তে পানি জমে সড়ক দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
কেন্দুয়া উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেন, এই সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আটপাড়া উপজেলা থেকে কেন্দুয়া গোপালপুর-রামপুর হয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত এটি। আটপাড়া উপজেলা থেকে রামপুরা-গোপালপুর হয়ে গৌরীপুর উপজেলা পর্যন্ত সড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ঢাকায় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন