ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া সাভারকে নতুন রূপ দিয়েছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাভার পৌরসভার প্রশাসক আবু বকর সরকার।
দায়িত্ব নেওয়ার পর রোববার (৬ অক্টোবর) মহাসড়ক থেকে ময়লা-আর্বজনা সরানোর উদ্যোগে নেন তিনি। সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লার ভাগাড় সরানোর ফলে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেয়েছেন পৌরবাসী।
দীর্ঘদিন ধরে পৌরশহরের প্রবেশপথ মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে ওই এলাকায় যে অস্বস্তিকর পরিবেশ ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে পথচারীরা মুক্তি পেয়েছে। প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতিবাচক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের ফলে সাভারবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন নব নিযুক্ত প্রশাসক। সকালে তিনি পৌরসভার কর্মকর্তাদের নিয়ে ময়লা সরানোর কাজ শুরু করেন।
সাভার প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় পৌরবাসীর দুর্ভোগ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। পৌর কর্তৃপক্ষ ও পৌরবাসী সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলত। এতে সড়কে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
এ বিষয়ে সাভার পৌরসভার প্রশাসক ও সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বকর সরকার কালবেলাকে বলেন, আমি সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে রয়েছি। অল্প কিছুদিন হলো পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে সরকার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি লক্ষ্য করেছি পৌরবাসীর যতগুলো সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাসাবাড়ির বর্জ্যগুলো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। ফলে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সম্প্রতি সাভার পৌরবাসীর ডেঙ্গুসহ নানা রোগে-শোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। যেটা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাই আমি অতি দ্রুত আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ময়লাগুলো রাস্তা থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, এ কাজে আমাকে সহযোগিতা করেছেন ঢাকা জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক, সাবেক জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ। পৌরসভার বর্জ্য ফেলার জন্য নিজস্ব ডাম্পিং স্টেশন থাকা খুবই জরুরি, যেটি সাভার পৌরসভার ছিল না। ফলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে পোহাতে হয়েছে নানা বিড়ম্বনা। আমাদের ইচ্ছে রয়েছে খুব শিগগিরই স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করে বর্জ্য ফেলার। সে লক্ষ্যে সাভার উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। শুধু পৌরসভা নয়, আমরা চেষ্টা করছি সাভার উপজেলায় যতগুলো ইউনিয়ন রয়েছে সবগুলোর ময়লা যাতে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা যায়।
ইউএনও আরও বলেন, সাভার পৌরসভায় ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার কারণে ডেঙ্গুর উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে, সাধারণ মানুষ ডেঙ্গুসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, স্কুলপুড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের চলাফেরায় হচ্ছে ভোগান্তি। সুতরাং যত জলদি সম্ভব আমরা এ সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।
এ সময় ইউএনও যে যার অবস্থান থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার আহ্বান জানান। স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা অবলম্বন করা গেলে এ সমস্যা থেকে দ্রুত উত্তরণ সম্ভব বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন