টাঙ্গাইলে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী নিজেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে। ওই শিক্ষার্থী কালিহাতির খিলদা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ফোন করলেন নিজেই। জেলার কালিহাতি উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তাকে ছাত্রী নিজেই ফোন করে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) ওই শিক্ষার্থী ইউএনওর কাছে মোবাইলে ফোন করে। পরে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন কালিহাতী পৌরসভার সিলিমপুর গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের সব আয়োজন পণ্ড করে দেন।
ইউএনও শাহাদাত হুসেইন বলেন, ‘ছাত্রীটি নিজেই আমাকে ফোন করে জানায় তাকে জোর করে তার বাবা-মা বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন। তিনি পড়াশোনা করতে চান বলে সাহায্যের আবেদন করেন। পরে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতা পাই এবং স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীর মায়ের সঙ্গে কথা বলে বিয়েটি বন্ধ করে দেই। এরইমধ্যে তাকে স্কুলে যাওয়ার সব ধরনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবা পরবর্তীতে তাকে স্কুলে না পাঠিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বাল্যবিয়ের আয়োজন করেন তাহলে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
মন্তব্য করুন