সিলেটে সুলতান’স ডাইনে মাংসের গুদামে জেনারেটর না থাকা, খাবারে তেলের ব্যবহারসহ বেশকিছু অনিয়মের দায়ে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুলতান’স ডাইনে যে পানিতে মাংস রাখা হয়েছে সেটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। একই সঙ্গে তারা রান্না করার জন্য যে তেল ব্যবহার করছে এগুলোও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খাবারের যেসব মিশ্রণ করা হয় সেগুলোর আমদানিকারকদের তালিকা তারা দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে তাদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সৈয়দ সারফরাজ হোসেন।
এর আগে সিলেটে সুলতান’স ডাইনের খাসির মাংসের সংগ্রহশালা থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তাদের মাংসের সংগ্রহশালায় অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরের দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার মেঘনা-বি-৩৩ ইমন হাউজিং সংগ্রহশালায় দুর্গন্ধ পেয়ে অভিযান চালান স্থানীয় কিছু যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার ইমন হাউজিং এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গত কয়েকদিন থেকে দুর্গন্ধে বেশ অতিষ্ঠ ছিলেন আশপাশের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কিছু যুবক সুলতান’স ডাইনের মাংসের সংগ্রহশালায় অভিযান চালান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজার অপারেশনস জুলকার আহমেদ বলেন, আপনারা কি কোনো প্রমাণ পাইছেন, এই মাংস আমরা ওদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি? পরে সেখানে থাকা সাংবাদিকরা প্রমাণ আছে বললে তিনি মাংস সংগ্রহের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন কার মাংস প্রতিদিনই কাজে লাগাই, কোনো ফ্রোজেন মাংস আমরা ব্যবহার করি না। পরে উপস্থিত সাংবাদিকরা ঢাকার কাপ্তানবাজারে জবাই করা মাংস কীভাবে সিলেটে এনে ব্যবহার করেন এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
মন্তব্য করুন