ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা ও রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত দিনভর প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী এবং চালকদের।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত এ যান জট অব্যাহত থাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গত রাত থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো চার লেনের পরিবর্তে এলেঙ্গা পর্যন্ত পৌঁছানোর পর বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর পর্যন্ত দুই লেন ব্যবহার করতে হচ্ছে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত দুই লেনে চলতে হচ্ছে।
এদিকে গভীর রাতে এলেঙ্গার কাছে মহাসড়কের কালিহাতির লিংক রোডে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হলে সেখানে উদ্ধার কাজে যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজট বৃদ্ধি পায়। ফলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ পড়ায় দিনভর মহাসড়কে যানজটের কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জামালপুরের সোহানুর রহমান সোহান জানান, এলেঙ্গা থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টা। তবে যাত্রীরা বেশি দুর্ভোগে আছে। বৃষ্টিতে যানবাহন থেকে না পারছে বাইরে বের হতে, না পারছে গন্তব্যে পৌঁছাতে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ নান্নু খান কালবেলাকে জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি থাকে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। যার কারণে রাবনা বাইপাস থেকে মহাসড়কের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এই যানজট বেড়ে এলেঙ্গা পার করেছে। এতে ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশা করি, বৃষ্টি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে যানজটও স্বাভাবিক হবে।
মন্তব্য করুন