বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা দল ও ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন মানব না। রাজনীতিতে কোনো ব্রাহ্মণ নীতি চলবে না।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, দেশের স্বার্থে আমাদের কোনো বিভাজন নেই। যত বিভাজন তা আমরা পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছি। আর কাউকে জাতিকে ভাগ করার সুযোগ দেব না। জাতিকে তারাই ভাগ করে যারা দেশের দুশমন। দলের ভিত্তিতে, ধর্মের ভিত্তিতে আর ভাগ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে আমরা আপসহীন।
জাতির সঙ্গে সেবক হয়ে গাদ্দারি করলে কি পরিণতি হয় তা থেকে শিক্ষা নিতে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির সঙ্গে গাদ্দারি করলে, তাদের সেবক হয়ে মালিক বনে গেলে কি পরিণতি হয় তা থেকে আমি, আমরা এবং জাতিকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আর কোনো স্বৈরাচার সরকার আসবে না। যারা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় জনগণকে তাদের কেনা টাকায় বুলেট ছোড়ার দুঃসাহস করবে। এমন কোনো নতুন সন্ত্রাসী সরকার দেখতে চায় না।
কোনো দুর্বৃত্তকে আদালতের চেয়ারে আর দেখতে চাই না এমন মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা বিচারের আমানত রক্ষা করতে পারবে তাদের বিচারক হিসেবে চাই। যারা মুখের দিকে তাকিয়ে কোনো বিচার করবে না। নীতি, নৈতিকতা ও সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেবেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকতে হবে, সাক্ষীপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচার হতে হবে সঠিক।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বীকৃতি দাবি করে তিনি বলেন, আমরা দলীয় ভিত্তিতে শহীদদের বিভক্তি চাই না। তারা আমাদের মর্যাদার পাত্র। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদের মুগ্ধ, সাঈদ, রিয়ারা ছিল। এ সময় তিনি প্রত্যেক শহীদ পরিবারের সদস্যদের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি করেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে জামায়াতের আমির শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির খায়রুল হাসান, সহকারী সেক্রেটারি হোসেন আলী , মজলিসের শূরা সদস্য আফজাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়ুবী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন