ঢাকার ধামরাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকুল এলাকা থেকে ও ঢাকার আদাবর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন (৮০) ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন চুনকু।
ধামরাই থানা সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিনকে তার নিজ এলাকা থেকে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন চুনকুকে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ সাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
গ্রেপ্তারকৃত আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে আব্দুল হালিম বলেন, আমার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ। পুলিশের গুলিতে কলেজ ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবরটি ফলাও করে প্রচার হয়েছে। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। মামলা হয়েছে নির্দোষ-নিরপরাধ নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নামে। এ ছাড়া আমার বাবার বয়স ৮০ বছরের উপরে। একাধিক রোগে আক্রান্ত তিনি। তিনটি হার্ট ব্লকসহ লিভারের ও কিডনি ৭০ পার্সেন্ট ড্যামেজ হয়েছে। প্রতিহিংসা ও মিথ্যা মামলায় আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা মামলার আসামি হয়েছেন তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দোষ-নির্দোষের বিচার করার এখতিয়ার একমাত্র আদালতের। এক্ষেত্রে পুলিশের কোনো কিছুই করার নেই। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা এজাহার নামীয় আসামি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট সকালে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক এমপি বেনজির আহমদসহ আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন