যশোরে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরি কারিগররা। এ বছর যশোর জেলায় ৬৫২টি মন্দির ও মণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। গত বছরের তুলনায় এ জেলায় এবার ৮০টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেই বলে জানা গেছে।
জলাবদ্ধতা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নিরাপত্তার অভাব ও আর্থিক সংকটের কারণে পূজামণ্ডপ কমেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ৬৫২টি মন্দির ও মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে।
গত বছর এই জেলায় ৭৩২টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন হয়েছিল। এই হিসাব অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে ৮০টি।
এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলার বল্লভপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারক কুমার বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, আর্থিক সংকট ও নিরাপত্তার অভাবে আমরা এবার পূজার আয়োজন করতে পারছি না। আমরা সরকারের কাছ থেকে বাঁওড় লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৫০-৬০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের পথে বসার উপক্রম। এ ছাড়া বাঁওড় দখলে নিতে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও তারা খুব একটা সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন।
যশোর শহরের বেজপাড়া মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কারিগর জয়দেব পাল কালবেলাকে বলেন, এ বছর শহর ছাড়া গ্রামেও প্রতিমার কাজ কম হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ সেট প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। প্রতিমা তৈরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধরনের কাজ করা লাগে।
এ বছর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন অনেকে। জীবনে যা না, তাই এ বছর করতে হয়েছে। মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতন দিয়ে প্রতিমা পাহারা দেওয়ার জন্য লোক রাখতে হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন কালবেলাকে জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পূজামণ্ডপ কমেছে। কেশবপুর, মণিরামপুরে জলাবদ্ধতার কারণে অনেক জায়গায় পূজার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
দেশে বড় একটা প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে কিছুটা আতঙ্ক রয়েছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।
মন্তব্য করুন