গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সেচের অভাবে প্রায় ৪৫০ বিঘা জমির বোরো ধানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেচপাম্পের মূল্যবান যন্ত্রাংশ লুটপাটের ঘটনায় সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সেচপাম্পের লুণ্ঠিত যন্ত্রাংশ উদ্ধারে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৩ সালে উপজেলার দুধিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মণ্ডল নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। পরে ২০১৯ সালে গভীর নলকূপটি লাইসেন্সের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি সেই থেকে অত্র এলাকার প্রায় ৪৫০ বিঘা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন।
আব্দুল লতিফ মণ্ডল জানান, এলাকার সংঘবদ্ধ একটি দুর্বৃত্ত দল দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় দুর্বৃত্তরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত ৬ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র উঁচিয়ে সেচপাম্পের ঘর ভাঙচুর করে এবং নলকূপের মোটর, কলম পাইপ, ডেলিভারি পাইপসহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ লুটপাট হয়।
এ ঘটনায় তিনি গত ১৯ আগস্ট এলাকার আব্দুস সামাদ শেখসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেন। এ ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে আব্দুস সামাদ শেখ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মামলার নথিপত্র থানা থেকে বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, আমি নই, মামলা রেকর্ড করেন থানার ওসি। তদন্ত করে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
থানার ওসি আছাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি, সম্ভবত এটি বিআরডিবির গভীর নলকূপ। বিষয়টি নিয়ে বিআরডিবি অফিসার ও ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি বিষয়টি থানায় মামলাভুক্ত হয়নি।
২৩ সেপ্টেম্বর আব্দুল লতিফ মণ্ডল গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের দপ্তরে একটি অভিযোগ দেন। এরপর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
মন্তব্য করুন