চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সীতাকুণ্ডের একটি কারখানা থেকে তিনটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, শেলগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা থানায় খবর দেই। কারখানা সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারো আউলিয়া এলাকার একটি কারখানায় গত মঙ্গলবার বিদেশ থেকে আনা স্ক্র্যাপ বাছাই করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় স্ক্র্যাপের মধ্যে তিনটি মর্টার শেল পাওয়া যায়। এতে শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অবহিত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের বিষয়টি জানায়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই কারাখানার এক কর্মকর্তা বলেন, মর্টার শেলগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানাই। এবং কারখানার ভেতরেই সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। কিন্তু তিন দিন পর্যন্ত কেউ আসেননি। এতে কারখানার ভেতরে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করেছিল।
তিনি জানান, বিগত কয়েক বছর আগেও একটি ইস্পাত কারখানায় স্ক্র্যাপে কাজ করার সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ইনচার্জ সঞ্জয় গুহ কালবেলাকে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ মর্টার শেলগুলো দেখার পরে থানায় অবহিত করেন। থানা থেকে এটি আমাদেরকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
খবর পাওয়ার পরও তিন দিন দেরী ও কারখানার শ্রমিকদের ঝুঁকির বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ মর্টার শেলগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপদ স্থানে রেখেছিলেন।
মন্তব্য করুন