সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে মনোয়ারা খাতুন মনো নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে শরীর থেকে হাত ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার দেবরের মেয়ের জামাই জাকারিয়া হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে এনায়েতপুর থানার স্থল ইউনিয়নের উত্তর নওহাটা এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মনোয়ারা খাতুন মনো (৬০) উত্তর নওহাটা গ্রামের মৃত শান্তা শেখের স্ত্রী। আটক জাকারিয়া (৩০) একই গ্রামের খোরশেদ সরকারের ছেলে। তিনি নিহত বৃদ্ধা মনোয়ারা খাতুনের দেবর বয়ান আলীর মেয়ের জামাই।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (৩ অক্টোবর) বৃদ্ধা মনোয়ারা চরের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওইদিন সন্ধ্যার আগে জাকারিয়া হোসেন বৃদ্ধার বাড়িতে ঢুকে তাকে মাছ কাটা দা দিয়ে কুপিয়ে দুই হাত ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে ঘরে রেখে পালিয়ে যাওয়ার পথে রক্তমাখা জামা দেখে গোসাইবাড়ী চর এলাকায় জনগণ তাকে আটক করে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দুর্গম চর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আটক জাকারিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে মনোয়ারা খাতুনের দেবর বয়ান আলীর মেয়ে তাছলিমার সঙ্গে জাকারিয়ার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছিল। জাকারিয়া আগেও একবার বিয়ে করে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিল। সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হওয়ায় মনোয়ারা খাতুন তার সঙ্গে ভাতিজিকে বিয়ে দিতে অসম্মত ছিলেন। তারপরও দেবর বয়ান আলী জাকারিয়ার সঙ্গেই মেয়ে তাছলিমাকে বিয়ে দেন। তাদের দুটো সন্তানও রয়েছে। বিয়েতে অসম্মতি জানানোর কারণে মনোয়ারার ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল জাকারিয়া।
এনায়েতপুর থানার ওসি মো. রওশন ইয়াজদানি কালবেলাকে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত জাকারিয়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, জাকারিয়া মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন