শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বিকল্প সেতুর পিলারে বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে সেতুর অর্ধেক অংশ। এই ঘটনায় দুজন আটক ও বাল্কহেডটি জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
মূলসেতু ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি ভেঙে তার পাশ দিয়ে মানুষের পায়ে হেঁটে পারাপারের জন্য ওই বিকল্প ফুটওভার সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল।
শরীয়তপুর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রাফেউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে সেটি একটি বিকল্প এবং অস্থায়ী সেতু। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে গত মে মাসে এটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণকাজ করছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এটি চালু করতে পারতাম। এই বিকল্প সেতুর পাশে নির্মাণাধীন রয়েছে ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতু। এই সেতুর নির্মাণকাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণে একটু সময় লাগার কারণে জনসাধারণের পায়ে চলাচলের জন্য এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতুটিতে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি ৫টি স্প্যান বসানোর কথা। ইতোমধ্যে ৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আজ সকাল ৮টা ৩০মিনিটে নড়াইলগামী একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুটির পশ্চিম পাড়ের স্প্যান ভেঙে পড়ে যায়। এখানে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বালুবাহী বাল্কহেডটিকে থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। পাশাপাশি হাসান হাওলাদার (৩০) ও সোহেল কিবরিয়া (২৬) নামে দুই বাল্কহেডের শ্রমিকে আটক করা হয়েছে। বাল্কহেড কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করব।
সেতুর পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াছিন আলী কালবেলাকে বলেন, বড় সেতুটি নির্মাণ করতে দীর্ঘদিন সময় লাগছে। যার জন্য আমাদের ট্রলারে করে নদী পার হতে হয়। এইজন্য আমাদের এই ছোট্ট সেতুটি নির্মাণ করছিল। কিছুই বুঝলাম না কি ধরনের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি বালুর বাল্কহেডের সঙ্গে লেগেই সেতুটি ভেঙে গেল। আমার মনে হয় ঠিকাদার সেতুর কাজ ঠিকভাবে করেনি। ঠিকভাবে করলে ভেঙে যেত না। আল্লাহ আমাদের বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। সেতুটি যদি চালু অবস্থায় থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের অনেক মানুষের জীবননাশ হতে পারত।
মন্তব্য করুন