নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁয় ধানক্ষেতে বিএলবি রোগে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

নওগাঁয় ধানক্ষেতে বিএলবি রোগে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণে থোড় হওয়া আমন ক্ষেতে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (বিএলবি) বা পাতা ঝলসানো রোগ দেখা দিয়েছে। আমন মৌসুমে ধানক্ষেতে বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগে পচন ও মাজরা পোকার আক্রমণ কমলেও থোড় হওয়া ধানে বিএলবি রোগের কারণে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

বুধবার (২ অক্টোবর) সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ধানক্ষেতে পাতা ঝলসানো রোগের চিত্র। থোড় হওয়া আমন ধানক্ষেতের জায়গায় জায়গায় পাতা মরে গেছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেতের ফসল পুরোটাই আক্রান্ত হয়েছে। ধানের জমিগুলোতে প্রথমে খয়েরি রং ধারণ করে এবং আস্তে আস্তে সব স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। একপর্যায়ে ধানের পাতাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। ফসল বাঁচাতে তারা বিভিন্ন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার আমন চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে। বেশিরভাগ স্থানীয় জাতের ধানক্ষেতে বিএলবি বা পাতা ঝলসানো রোগ দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, এবার আমন মৌসুমে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণে আমন ক্ষেতে পাতা ঝলসানো রোগ দেখা দিয়েছে। বাতাসের মাধ্যমে তা এক ক্ষেত থেকে অন্য ক্ষেতে বিস্তার লাভ করে। আমন ধানে থোড় হওয়ার সময় এমন রোগে আক্রমণে ফলন তেমন একটা কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এন্টি ব্যাকটেরিয়া কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে সঠিক মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

উপজেলার শ্রীমন্তপুর এলাকার কৃষক রতন মিয়া বলেন, চার বিঘা জমিতে এবার আমন আবাদ করেছি। টানা বৃষ্টির পরই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জমির ধানের পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে। এ জমিগুলোতে নিশ্চিত ফলন বিপর্যয় ঘটবে বলে জানান তিনি।

কৃষক আহসান হাবিব বলেন, নিয়ামতপুরে পাতা ঝলসানো রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা দেখে অনেক কৃষকই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কৃষি কর্মীদের পরামর্শ না পেলেও সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ছত্রাকনাশক ব্যবহার করছেন তিনি।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান কালবেলাকে বলেন, এই রোগকে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট বা সংক্ষেপে বিএলবি বলা হয়। জমিতে এমওপি (পটাশ) সারের অভাবে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এই রোগে আক্রমণ হলে দিশেহারা না হয়ে জমি শুকনো রাখতে হবে। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ওষুধ স্প্রে করলে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। এই রোগের কারণে আমনের ফলনে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ড. ইউনূসকে ডি-৮ সম্মেলনে আমন্ত্রণ

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১

স্কোয়াডে মেসি, এরপরও অখুশি আর্জেন্টাইন সমর্থকরা

ফায়ার সার্ভিসের নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ

মাহমুদুর রহমান কারামুক্ত

বৃষ্টি থাকবে আর কতদিন জানাল আবহাওয়া অফিস

ডিসি নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ তদন্তে ৩ উপদেষ্টা

বৃষ্টিতেও সড়কে পড়ে ছিলেন শতবর্ষী বৃদ্ধা

মাংসে দুর্গন্ধ, তোপের মুখে সুলতান ডাইন

ইরানের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বকে চমকে দেবে

১০

লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় বিএনপির বিবৃতি

১১

বিশ্বে স্থূলতার ঝুঁকি / গরিব রাষ্ট্রের তুলনায় ধনী রাষ্ট্রে স্থূলতার হার ১৪ শতাংশ বেশি : গবেষণা

১২

রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত

১৩

কোটায় নিয়োগ পেতে পাঁয়তারা, সতর্ক করল এলজিইডি

১৪

জবিতে গিয়ে আটক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

১৫

গুম কমিশনের কাছে ৪০০ অভিযোগ

১৬

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ / টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৭

গাজীপুরে দাওয়াত দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

১৮

আ.লীগের ষড়যন্ত্র সফল হবে না : নাজমুল হাসান

১৯

কিশোরগঞ্জে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর

২০
X