খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা

সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত কমিটি, মামলা

সহিংসতার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা
সহিংসতার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোজনিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা হয়েছে দুটি।

বুধবার (২ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিহত শিক্ষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

মঙ্গলবারের সংঘাত সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত কেএসটিসি হাসপাতালসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে সহিংসতার ঘটনার বিবরণ শুনেছেন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোজনিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি ধর্ষণ মামলা এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা হয়েছে। পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা জানাজানি হলে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে জেলা শহরের পানখাইয়া পাড়া ও মহাজন পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় কেএসটিসি হাসপাতালে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ / ব্যক্তিগত নয় দলীয় অর্জনে চোখ জ্যোতির

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মাসুদুল হাসান

নাসা গ্রুপের নজরুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে সিআইডি

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাওন কারাগারে

চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক এমপি মুক্তির বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আড়াইশ জনের নামে মামলা

জবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের মহালয়া অনুষ্ঠিত

জিএম কাদেরসহ জাতীয় পার্টির নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

আদালত থেকে পালাল রোহিঙ্গা আসামি

১০

আসন্ন দুর্গাপূজায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানা নির্দেশনা 

১১

বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলা, ক্ষয়ক্ষতি জানাল ইসরায়েল

১২

মহেশপুরের ডা. সাইফুল কলেজের সভাপতি হলেন হারুন অর রশিদ

১৩

ঢাবি শিবির নেতাদের একাডেমিক ফলাফলে চমক

১৪

গোবিন্দের বক্তব্যে ‘সন্তুষ্ট’ নয় পুলিশ

১৫

‘যদি মুহি শিবির হয়ে থাকে তাহলে শিবির ভালো’

১৬

সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৫০ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

১৭

ডেমরায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ১

১৮

চট্টগ্রাম চেম্বার প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ল ৯০ দিন

১৯

বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম’

২০
X