ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, সকল গণহত্যা, গুম, খুন ও অন্যায়ের বিচার করতে হবে। বিগত সরকারের দুর্নীতি ছিল নজিরবিহীন। গুম, খুন ছিল তাদের দেশ পরিচালনার নীতি। তারা ছিল ভয়ঙ্কর খুনি। অসংখ্য গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, নীতি ও আদর্শবান লোকদের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলেই কেবল দেশ একটি আদর্শ দেশে পরিণত হতে পারে। দুর্নীতিমুক্ত সৎ মানুষদের দেশ পরিচালনা ছাড়া কখনো দুর্নীতি অরাজকতা দূর করা সম্ভব নয়। সকল গণহত্যা, গুম, খুন ও অন্যায়ের বিচার করতে হবে। বিগত সরকারের দুর্নীতি ছিল নজিরবিহীন। গুম, খুন ছিল তাদের দেশ পরিচালনার নীতি। তারা ছিল ভয়ঙ্কর খুনি। অসংখ্য গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, লুণ্ঠন, চুরি, ডাকাতি ও টাকা পাচারে বিগত সরকার ছিল বিশ্বসেরা। বিদেশে তাদের একেকজনের রয়েছে শতাধিক বাড়ি। লুটপাটের মহোৎসবে মেতেছিল তারা। সীমাহীন দুর্নীতি করে দেশের সব কিছু লুটপাট করে খেয়েছে তারা। তাদেরকে আর যা কিছু বলুন দেশের শাসক বলা যায় না।
সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ছাত্র-জনতা ও আলেম-ওলামাদের বীর সাহসীগণের অভ্যুত্থানে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশ শত্রু মুক্ত হয়েছে। অথচ আলেম উলামারা বর্তমানে বৈষম্যের শিকার। মাদ্রাসার ছাত্ররা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও বিসিএস পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না, এটা চরম বৈষম্য। এবার এ দেশকে নতুন করে সুন্দর করে সাজাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এক লুটপাটকারীর বিদায়ের পর আর যেন কোনো লুটপাটকারী ক্ষমতায় আসতে না পারে। নতুন দেশকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত সৎ আদর্শবান শাসকের। যারা হবে আল্লাহভীরু চরিত্রবান মেধাবী দক্ষ ও সাহসী। যাদের ভিতর থাকবে দেশপ্রেম এবং আল্লাহর ভয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাংবাদিক এটিএম আবু তুরাব ও শাবিপ্রবির মেধাবী ছাত্র রৌদ্র সেনসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতেদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাই। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরিবেশের দোহাই দিয়ে যারা পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে তারা বাংলাদেশের আদর্শ লালন করে না। পরিবেশের দোহাই দিয়ে যারা পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। দ্রুত পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি মুফতি সাঈদ আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইমাদ উদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সহসভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মুছাব্বির আহমদ রুনু।
সিলেট জেলা সভাপতি আলহাজ নজির আহমদ, মহানগর সহসভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল হক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা আসআদ উদ্দিন, জেলা সভাপতি মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী, মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা বদরুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন জেলা সভাপতি নুরুল আমিন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি জাকির হোসেন, মহানগর সভাপতি মাওলানা বদরুল হক, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম শামীম, মহানগর সভাপতি মকবুল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন