দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। মোমবাতি আর মোবাইলের টর্চলাইট জ্বালিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। এতে বিপাকে নার্স ও চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বজ্রপাতে হাসপাতালের ট্রান্সফর্মারটি নষ্ট হওয়ায় তখন থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা। শুধু রোগী ও স্বজনরাই নন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, মোমবাতি জ্বালিয়ে এক হাতে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে এক রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা ডা. তানসু সুমী নামের এক চিকিৎসক। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রোগীদের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীর স্বজনরা মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে রেখেছেন। নার্স রোগীকে সেবা দিচ্ছেন।
এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়া রোগী ও স্বজনরা জানান, গকতাল রাত থেকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। আমরা খুব অশান্তির মধ্যে রয়েছি। বিকাল থেকে প্রচুর গরম পড়ছে। দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা না করা হলে রোগীরা এমনিতেই মারা যাবে।
এ সময় একজন নার্স জানান, গতকাল রাতে বজ্রপাতে ট্রান্সফর্মারটি নষ্ট হয়ে গেছে। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেবা দিতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও কিছু করার নেই।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানসু সুমী বলেন, গরমে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। আজ রাতে বিদ্যুৎ না এলে আমরা চিকিৎসকরাই অসুস্থ হয়ে পড়ব। আগামীকাল ডিউটি করব কীভাবে। বিদ্যুৎবিহীন চিকিৎসা দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালের জেনারেটরটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে পানি সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা একটি ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ পেয়ে যাব।
উপজেলা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রাকিব হাসান বলেন, বজ্রপাতে নষ্ট হওয়া ট্রান্সফর্মারটি হাসপাতালের নিজস্ব। একটি ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সংযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছি। আশা করছি আজকের মধ্যেই হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন