গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন। এতে ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের মানুষ। প্রতি বছরই ঘরবাড়ি-হারা হতে হয়, যুদ্ধ করেই যেন বেঁচে থাকতে হয় নদীপাড়ের মানুষকে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পাওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, জেলার প্রধান নদ-নদী যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ফুলছড়ি স্টেশনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ২৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঘাঘট নদী নিউ ব্রিজ স্টেশনে ১২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ২৭৫ সেন্টিমিটার নিচে ও করতোয়া নদীর চকরহিমাপুর স্টেশনে ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া স্টেশন পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় বৃষ্টিপাত শূন্য মিলিমিটার।
খাটিয়ামারি চরের আরেক বাসিন্দা মজনু মিয়া বলেন, বন্যায় ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আবার নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে কখন যেন ফসলি মাঠ ও ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাই। নদীভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছেন না কেউ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) হাফিজুল হক কালবেলাকে বলেন, জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুধু চরের নদীপাড়গুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন