বগুড়া ব্যুরো ও সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যমুনার ভাঙনে ঝুঁকিতে শতাধিক বসতবাড়ি

ভাঙন আতঙ্কে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আরও ২৪টি পাকা বাড়ি। ছবি : কালবেলা
ভাঙন আতঙ্কে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আরও ২৪টি পাকা বাড়ি। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ভূমিহীনদের দেওয়া সরকারি বাড়ি। কয়েক দিনে যমুনা নদীর ভাঙনে দুটি বাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আরও ২৪টি পাকা বাড়ি। বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৪৩টি পাকা বাড়িসহ একটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ পর্যায়ে উপজেলার বিরামের পাঁচগাছি গ্রামে সরকারিভাবে ৬৯টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২ কোটি টাকা। এর মধ্যে যমুনা নদীর ভাঙনে ৬৯টি পাকা বাড়ির মধ্যে ২৬টি বাড়ি যমুনা নদীভাঙনের শিকার হয়েছে।

৪৩টি পাকা বাড়ি এবং শতাধিক ‘হেল্প মি’ সংস্থার টিনশেড বাড়িঘর যমুনা নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ঘরগুলোকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেশকিছু জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল; কিন্তু যমুনা নদীর প্রবল স্রোতে জিও এবং টিও ব্যাগ কোনো কাজে আসেনি। একই গ্রামের মৃত হোসেন সরকারের স্ত্রী মিনি বেগম জানান, প্রায় ৯ বার যমুনা নদীভাঙনের শিকার হয়ে তিনি এখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন আট বছর আগে।

দুই বছর আগে তিনি একটি পাকা বাড়ি পেয়েছিলেন। পাকা বাড়ি পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন। এ জীবনে তার পাকা বাড়িতে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে; কিন্তু কয়েক দিন ধরেই এ গ্রামে যমুনা নদীভাঙন শুরু হয়। মিনি বেগমের মতো ২৪টি পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে চলে গেছেন। দুটি বাড়ি একেবারেই যমুনায় বিলীন হয়েছে। ভাঙনের শিকার কেউ কেউ অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা কালবেলাকে বলেন, ঘরগুলো নির্মাণের সময় স্থান নির্বাচন একেবারেই ভুল ছিল। নদীর দেড় কিলোমিটারের মধ্যে একেবারেই বালু মাটিতে ঘরগুলো করা উচিত হয়নি। ঘরগুলোর কবুলিওতের সময়ও আমার কাছ থেকে কোনো ধরনের প্রত্যয়ন গ্রহণ করা হয়নি। তবে ভাঙনের শিকার মানুষগুলোর একটা ঠিকানা হোক সেটা আমি চাই।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বিরামের পাঁচগাছি গ্রামের সরকারি ঘরগুলো রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও-টিও ব্যাগ ফেলে অনেকভাবে চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু যমুনা নদীর প্রবল স্রোতে তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

নদীভাঙনের শিকার উপকারভোগীদের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চর ডিজাইনের ঘর প্রদান করে তাদের ফের পুনর্বাসন করতে সরকারের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লিড নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ জিম্বাবুয়ের

মৃত্যুর আগে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি’ চেয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস

সিপিডির গবেষণা / ২০২৩ সালে কর ফাঁকিতে রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

রেহান-পলিনের ‘টুকরো চোখ’

পোপ ফ্রান্সিস আর নেই

হঠাৎ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশের চেষ্টা

মাস্ক-হেলমেট পরে সোনারগাঁয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল

নাসুমকে হাথুরুর থাপ্পড় দেওয়া নিয়ে যা বললেন হেরাথ-পোথাস

আল-আকসা ভেঙে থার্ড টেম্পল নির্মাণের প্রচারণায় ইসরায়েল

তিন পুলিশ সুপার বদলি

১০

সন্তান না হওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

১১

এ কোন সাদিয়া আয়মান, ভাইরাল ছবির নেপথ্যে কে?

১২

চানখারপুলে গণহত্যা / সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল 

১৩

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পুনর্গঠনের দাবি এবি পার্টির

১৪

নতুন রেকর্ড গড়ার পথে শাকিবের ‘বরবাদ’ (ভিডিও)

১৫

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের আস্তানার সন্ধান, মিলল সামরিক ইউনিফর্ম

১৬

বজ্রপাতে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার

১৭

দরিদ্র শামছুল হকের মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন, সার্বিক সহযোগিতায় তারেক রহমান

১৮

দিনাজপুরে ছাত্র আন্দোলনে হামলা, আ.লীগ-যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির

২০
X