রাজশাহীর দুর্গাপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে শফিকুল ইসলাম আজম (৪৫) নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করা হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার দুর্গাপুর বাজার থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গগনবাড়িয়ার মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মো.শাহিন বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-১৫।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা আজম উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত দূর্লভ কারিগরের ছেলে। তিনি দুর্গাপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম আজমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুর রহমান মন্টু (৬৫), ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামান (৫০), আলমগীর হোসেন (৩০), ইসরাফিল (৪৫), শাহিন (২৮), জামু (৪৫), তরিকতউল্ল্যা (৪৫), লইয়ম (৫০), আজাদ (৪০), আসাদুল (২৮), জীবন (২৫), আফজাল (৩২), মাহাতাব (৫০), হানিফ (৩৫), নাসিমুল (৩৫) প্রমুখ।
জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর আসামিরা উপজেলার গগনবাড়িয়া এলাকায় লিজকৃত একটি খাস পুকুরে গিয়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দাবিকৃত টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা ভুক্তভোগী ভয়ে দিতে বাধ্য হয়। পরে আবারও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ১২ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে পুকুরে জাল দিয়ে জোরপূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতা আজমকে আটক করা হয়।
দুর্গাপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, থানায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যৌথবাহিনীর সদস্যরা যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম আজমকে আটক করে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন