বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম আরিফ (১৯) নামে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ৪ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের একদিন আগে চট্টগ্রাম হয়ে উঠেছিল অগ্নিগর্ভ। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনগুলোর সশস্ত্র হামলায় আহত হন দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা। সেদিন নগরের সিআরবি এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ফেনীর তরুণ সাইফুল ইসলাম আরিফ (১৯)। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন। চট্টগ্রামে চাচার বাসায় বেড়াতে গিয়ে যোগ দেন আন্দোলনে।
আরিফের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, আরিফ আমার একমাত্র সন্তান। আমি গরিব কৃষক, তাই ছেলেকে শিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম। এবার চাচার বাসায় গিয়েছিল কলেজে ভর্তির খোঁজ নিতে, আর ফিরে আসেনি।
নিহতের চাচা আমজাদ হোসেন কালবেলাকে বলেন, পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে সাইফুল বড় ছিল। সে মূলত চট্টগ্রামে জেঠার বাসায় বেড়াতে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়। সেদিন তাকে আ.লীগের লোকজন বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।
তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ভাতিজাকে বাঁচাতে পারলাম না। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের সবাই বাকরুদ্ধ। আজ দাগনভূঞার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মন্তব্য করুন