বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে কীসের উন্নয়ন হয়েছে? তার আমলে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি লোন করা হয়েছে। আর ১৭ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এটা কীসের উন্নয়ন!
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর ভুবনমোহন পার্কে ‘আমার বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গণঅভ্যত্থানে রাজশাহী অঞ্চলে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার লোকজনদের বিদেশে কালো টাকা পাচার করতে দিয়েছেন। তার মদদে লুট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘যারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের বলে রাখি। আপনারা আশ্রয় দিচ্ছেন, ঠিক আছে। কিন্তু তার কথা শুনে যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিছু করতে যান, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাহলে আপনাদের জন্য আখেরে ভালো হবে না। অন্য কোনো দেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না বলে। এটা পাশের দেশের নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন গুণীজন। তিনি চাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন। তাকে সবাই সহযোগিতা করতে চায়। কিন্তু প্রশাসনের মধ্যে যদি এমন লোক থাকে, যারা শেখ হাসিনার ১৫-১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন ফ্যাসিবাদ-লুণ্ঠনে সহায়তা করেছে, তারা একটি বিপ্লবী সরকারকে কখনোই সমর্থন দিতে পারে না। তারা যদি ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হয়, সচিব হয়, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে বসে, তাহলে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, এই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। এরা সংস্কার ব্যর্থ করে দেবে।’
রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুন-অর-রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবীর, আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু।
মন্তব্য করুন