নড়াইলের নড়াগাতীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী মিলন শেখকে কুপিয়ে জখম করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মিলন শেখ ঢাকা থেকে নিজ গ্রাম খাশিয়ালে এলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সজল খন্দকার ও জুয়েল খন্দকারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে মিলন শেখকে। আহত মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নড়াগাতী থানা ছাত্রদল নেতা রিমন মোল্লা বলেন, মিলন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একই সঙ্গে নিজ এলাকাতেও ছাত্রদলের কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন তিনি। পূর্ববর্তী বিরোধের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাকে কুপিয়েছে।
নড়াগাতী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম মিশান বলেন, মিলন আমার স্নেহের ছোট ভাই। সে জাতীয়তাবাদের আদর্শ ধারণ করে। ছাত্রদলের আদর্শ ধারণ করে। বিগত আন্দোলনে সে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল। আমি এই হামলার বিচার চাই।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, মিলন বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সব ব্যবস্থা নিবে। আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ছিল এটি। ভারতে বসে শেখ হাসিনা নিজে এসব নির্দেশনা দিচ্ছে। যেটার প্রতিফলন দেখা গেল এ ঘটনায়।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা হলে আন্দোলন করবে ছাত্রদল। নয়তো তাদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে প্রশাসনের নিকট তুলে দেওয়া হবে।
নড়াগাতী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, মূলত গ্রাম্য আধিপত্যের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আগে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। এর জেরে মিলনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন