বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আজকে দেশের দুঃসময় যাচ্ছে। আমরা এখনো গণতন্ত্র ফিরে পাইনি। আমরা স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যখন এ দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে এবং তাদের ভোটে সরকার গঠন হবে তখন বুঝতে পারব গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। সে জন্য যখন কাজ চলছে তখন পরাজিত শক্তি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। সে সময় আরও যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের কি আমাদের লোক বলব, না পরাজিত শক্তির বলব।
গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হলে তার অসহায় পরিবারকে একটি কাপড়ের দোকান করে দিয়েছে বিএনপি। উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে 'আমরা বিএনপি পরিবারের' পক্ষ থেকে একটি দোকান হস্তান্তর, কবর জিয়ারত ও সংক্ষিপ্ত সভার আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চেয়েছিলাম। রাজি হয়নি, দেশত্যাগ করতে হয়েছে। আমরা বলেছিলাম একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
পদত্যাগ করা লাগবে না, যারা জিতবে তারা ক্ষমতায় আসবে। পদত্যাগের লজ্জাও হবে না। সেটাও রাজি হয় নাই। এখন পদত্যাগও করলেন, দেশ ত্যাগও করলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম অপমান, এ রকম লজ্জা কারও কপালে আসবে না। অত্যাচার-নিপীড়ন করলে এমনই হয়।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধ করব চলমান পরিস্থিতে আমাদের শৃঙ্খলায় থাকতে হবে, শান্তিতে থাকতে হবে। কোনো রকমের চাঁদাবাজি, দখলদারি, অত্যাচার-নিপীড়নের মধ্যে যুক্ত হবেন না। যারা দলের হুকুম ও সিদ্ধান্ত মানবে না তারা দলের লোক নয়।
সভাশেষে নিহত সাদিকুর রহমানের ভাই সাদ্দাম হোসাইনের হাতে দোকান ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। ফিতা কেটে দোকানটি উদ্বোধন শেষে কবর জিয়ারত করেন নেতারা।
সভা সঞ্চালনা করেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেল, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন