দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আশ্বিন মাসেও যেন দেখা মিলছে আষাঢ়ে বৃষ্টির দাপট। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমে ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়,পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে এবং মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত এবং এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
জানা যায়, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই ঝরছে বৃষ্টি। গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে দৈনন্দিন রোজগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালক, চা শ্রমিকসহ এসব খেটে খাওয়া মানুষ বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারছেন না। অনেকে বাধ্য হয়েই জীবিকার তাগিদে ছুটছেন কাজে। বৃষ্টির প্রভাবে তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান, শুক্রবার সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছিল। গত ৩ দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা যেমন কমেছে তেমনি এর মধ্য দিয়েই শীতের আমেজ শুরু হতে পারে।
মন্তব্য করুন