রাজধানীর তুরাগ থানার দিয়াবাড়ি এলাকার একটি কাশবন থেকে শিশু আব্দুর রহমান মুছার (১১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির বাবা মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিউদ্দিন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার দত্তপাড়া ডুয়াটি গ্রামের সিরাজ মাতবদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন।
পুলিশ জানান, নিহত মুছা টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় পান্নু খানের ভাড়া বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বসবাস করত। মুছা ওই এলাকার হলি ক্রিসেন্ট হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মুছার মা শরিফুন নেছা। তারপর থেকেই পুলিশের একটি দল শিশুটির সন্ধানে অভিযানে নামে। প্রায় ১৬ বছর আগে বিয়ে হয় মহিউদ্দিন ও শরিফুন নেছার।
উপকমিশনার জানান, গত শনিবার বিকেলে ছেলে মুছাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান বাবা মহিউদ্দিন। কিছুক্ষণ পর রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকার একটি কাঁশবনে নিয়ে যায় শিশুটিকে। পরে সেখানে তাকে গলাটিপে হত্যা করে কাঁশবনের ভেতরে লাশটি ফেলে বাসায় চলে আসেন তিনি। বাসায় ফিরে মুছা হারিয়ে গেছে বলে সবাইকে জানানো হয়। একপর্যায়ে মহিউদ্দিন ওই বাসা ফরিদপুরে ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের ওসি এসএম মামুনুর রশীদ।
মন্তব্য করুন